‘লাল পাহাড়ির দেশে যা, রাঙা মাটির দেশে যা’ এই গান শোনেননি এমন শ্রোতা খুঁজে পাওয়া সত্যিই কঠিন। তারই স্রষ্টা কবি অরুণ চক্রবর্তী শনিবার সকালে পাড়ি দিলেন না ফেরার দেশে । সূত্রে খবর, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নিজের বাসভবনে প্রয়াত হয়েছেন তিনি। লোক গান নিয়ে তার বিভিন্ন চর্চা থাকলেও বিশ্বব্যাপী মানুষের কাছে তিনি পরিচিত হয়েছেন এই গানের মাধ্যমেই। আজও লোকের মুখে মুখে ঘোরে এই গান। পাশপাশি আরও অনেক লোকগান লিখেছেন কবি।
হুগলীর চুঁচুড়া তে নিজের জীবন কাটিয়েছেন অরুনবাবু। ১৯৪৬ সালের ১৬ ই সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শোনা যায়, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ছিলেন কবি। তারপরেই শুরু তার কর্ম জীবন। কর্মজীবনের পাশাপাশি লেখালেখি শুরু করেন তিনি। একাধিক গানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। ১৯৭০ সালে তিনি লেখেন সেই কালজয়ী গান। এই গানই তাকে এনে দিয়েছিল বিশ্বজোড়া খ্যাতি।
আরও পড়ুন – অনির্বাণ- পরমব্রত জুটি নিয়ে আসছেন ‘ভোগ’
ঘুরে বেরোনোর ভীষণ সখ ছিল কবির। কখনও পাহাড়ের কোলে, কখনও অন্য জায়গায় নিভৃতে ঘুরে বেরাতে ভালো বাসতেন তিনি। তবে তাকে সবসময় টানত লোক গান। লোকগানেই নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন তিনি।
ছোট বাচ্ছাদের ভীষণ ভালবাসতেন কবি। সবাইকে দেখলেই চকোলেট দিতেন। শোনা যায়, সবসময়ই ব্যাগে চকোলেট রাখতেন তিনি। কারুর সঙ্গে আলাপ হওয়া মাত্রই চকোলেট তিনি দেবেনই।
আরও পড়ুন – আসছে ‘চালচিত্র’,ItsMajja Bangla র মুখোমুখি টোটা রায় চৌধুরী
মাথায় লাল রুমাল, কাঁধে ঝোলা ব্যাগ নিয়ে আর দেখা যাবে না কবিকে। ইতিমধ্যেই চুঁচুড়ার সাহিত্যিক মহলের অনেকেই শোকজ্ঞাপন জানিয়েছেন। পাশাপাশি কলকাতার অনেক সাহিত্যিকও শোকবার্তা জানিয়েছেন। চুঁচুড়ার শ্যামবাবুর ঘাটে শেষকৃত্য হবে কবির। ItsmajjaBangla র পক্ষ থেকে সাহিত্যিকের জন্য রইল সমবেদনা।