হইচইতে সায়ন্তন ঘোষালের ‘বিজয়া’ মুক্তি পেয়েছে গত ৫ই জুলাই। এই সিরিজের বিষয়: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাসে ঘটে যাওয়া র্যাগিং এবং সেই র্যাগিং-কে ঘিরে ঘটা পরবর্তী ঘটনা। সিরিজে অভিনেতাদের অভিনয় দাগ কাটতে বাধ্য দর্শকের মনে। বিজয়া বসুর চরিত্রে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় কে যথাযথ বললে কম বলা হবে। তার পুত্র নীলাঞ্জন বসুর চরিত্রে দেবদত্ত রাহা ভালো অভিনয় করেছেন। অহন মিত্রের চরিত্রে জিৎ সুন্দর বেশ মানানসই। তার মা ‘শম্পা’র চরিত্রে গুলশনারা খাতুনের অভিনয় খুবই ভালো। যদিও তিনি ভীষণ কম স্ক্রিন টাইমে পেয়েছেন। কলেজের নিয়োগ করা মনোবিদের চরিত্রে বিদিপ্তা চক্রবর্তী নিজের উপস্থিতি বুঝিয়েছেন। খল চরিত্রে, রিকির ভূমিকায় রৌণক দে ভৌমিক কে দেখে দর্শকের যথেষ্ট রাগ হবে। তার বাবা, মিহির গুপ্তের চরিত্রে সাহেব চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতি বেশ প্রভাব বিস্তার করে। এই সিরিজে ব্যবহৃত গানের কথায় আসা যাক। ইমন চক্রবর্তীর গাওয়া ‘মা তো আমি তোর’ এবং তিতাস ভ্রমর সেনের গলায় ‘মায়ের শক্তি জাগে’-এর ব্যবহার যথোপযোগী। বিশেষ করে বলতে হয়, বিজয়া বসুর ‘মেক আপ’ ও কষ্টিউমের কথা। অভিনেত্রীকে, বিজয়া বসু হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে নিপুণ মেক আপ ও পাতলা পাড়ের সাদা শাড়ি। চিত্রনাট্যের চলন শেষ কয়েকটি এপিসোড বাদে ভীষণ ভাবে বাস্তব সম্মত। পরিচালক বারংবার ন্যারেটিভের কন্টিনিউটিকে ভেঙেছেন। পরিচালক একটা ঘটনা দেখাতে দেখাতে অতীতে ফিরেছেন অথবা, কোনো চরিত্রের কিছু মনে পড়ছে সেখান থেকে বর্তমানে নিয়ে এসেছেন চরিত্রদের। তবে, সিরিজের বেশিরভাগটাই একমাত্রিক ভাবে বিজয়া বসুর পারস্পেক্টিভ থেকে দেখানো হয়েছে।
স্কোর:
পরিচালনা: সায়ন্তন ঘোষাল = ৩.৫/৫
চিত্রনাট্য: রোহিত-সৌম্য = ৩/৫
গল্প: রোহিত-সৌম্য = ৩.৫/৫
মিউজিক: শিবাষিস ব্যানার্জি, প্রতীক কুন্ডু= ৪/৫
সম্পাদনা: শভজিৎ সিংহ = ৪/৫
চিত্রগ্রহণ: টুবান = ৩.৫/৫