“মুঞ্জিয়া” সিনেমার মাধ্যমে হরর-কমেডি ঘরানায় পরিচালক হিসেবে নিজের পরিচিতি তৈরি করেছিলেন আদিত্য সারপোতদার। তার নতুন ছবি “কাকুদা”। ছবির গল্প রতৌরি নামক গ্রামকে ঘিরে। এই গ্রামের প্রতি বাড়িতেই দুটো করে দরজা, একটি বড় একটি ছোট। সে গ্রামে প্রতি মঙ্গলবার সন্ধে ৭.১৫ বাজলেই গ্রামের পুরুষদের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে রাখতে হয়। তবে ছোট দরজাটা খোলা রাখতে হয়, না হলে ভয়ঙ্কর ‘কাকুদা’ এসে তাকে তেরো দিনের মৃত্যুর নোটিস দিয়ে যায় এবং তার পিঠে রেখে যায় একটি কুঁজ। এই ছবির গল্পে যেমন রহস্য এবং রোমাঞ্চ আছে, তেমনই মজার দিকও রয়েছে। কিছু দর্শককের এটি ‘বোকা’ বলে মনে হতে পারে, তবে সিনেমাটি অনেকটা “ভুলভুলাইয়া” বা “স্ত্রী”র কথা মনে করায়। যদিও “কাকুদা” সেই পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি, তবে আদিত্য সারপোতদারের গল্প বলার কৌশল প্রশংসনীয়।
গ্রামের অন্ধবিশ্বাসকে কেন্দ্র করে পরিচালক একটি চমৎকার গল্প গড়ে তুলেছেন। সোনাক্ষী সিনহা এই ছবিতে ইন্দিরা ও গোমতীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। গল্পে মোচড় আসে যখন ইন্দিরার স্বামী ‘সানি’ কাকুদার খপ্পরে পড়ে। আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর ইন্দিরা ভিক্টর নামের এক ‘ঘোস্ট হান্টার’ এর সঙ্গে পরিচিত হয়। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন রীতেশ দেশমুখ। এরপরই গল্প অন্য দিকে মোড় নেয়।
গ্রামের মানুষদের ওপর কাকুদার প্রতিশোধ স্পৃহা প্রতি মঙ্গলবার ফিরে আসে, আর এখানেই কাকুদাকে কবজা করার জন্য ইন্দিরার নেতৃত্বে শুরু হয় অভিযান। রীতেশের ঘোস্ট হান্টারের ভূমিকায় অভিনয় যথাযথ হলেও বিশেষ কিছু মনে গেঁথে যায় না। অন্যদিকে সাকিব সালিমের অভিনয় বেশ দক্ষ। তিনি সোনাক্ষীর স্বামীর চরিত্রে আবেগপ্রবণ ও ভিতু স্বভাবের বিভিন্ন দিক চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন।
দুই বোন গোমতী ও ইন্দিরার ভূমিকায় সোনাক্ষী সিনহার অভিনয়ও প্রশংসনীয়। সানির বন্ধু ‘কিলবিশ’-এর চরিত্রে আসিফ খানের অভিনয়ও মনে দাগ কাটে। সিনেমার শেষে তাঁর চরিত্র মনে থেকে যাবে। সর্বশেষে বলা যায়, ‘কাকুদা’ একটি ভালো “বিঞ্জ-ওয়াচ” করার মতো সিনেমা। তবে কাকুদার চরিত্রে স্পেশাল এফেক্ট আরও ভালো হতে পারত। কিন্তু এই রহস্যের সমাধান কীভাবে হবে, তা জানতে হলে জি ফাইভে সিনেমাটি দেখতে হবে।