এখন নানা চ্যানেলের ভীড়ে, বিনোদনের ভাঁড়ার অপরসীম। কিন্তু একটা সময় অবধি, একমাত্র ভরসা ছিল দূরদর্শন ও দূরদর্শনের নানান স্থানীয় চ্যানেল। পুজোর শুরুতে, দুরদর্শনে মহালয়ার অনুষ্ঠান আজকাল বহুল প্রচলিত। তবে, সবকিছুরই শুরু থাকে। ইটস মজ্জা বাংলা, চেষ্টা করলো সেই ইতিহাস খুঁজে দেখতে।
সংযুক্তা ভট্টাচার্যের উপস্থাপিত দেবী দূর্গা আজও দর্শক মননে উজ্জ্বল। ১৯৯৪ এর মহালয়া থেকে ওনার দেবী দূর্গা রূপে পথ চলা শুরু। ২০১৩ তে শেষবার ওনাকে দেখা যায় ওই চরিত্রে। তবে, তারও আগে ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ মালবিকা মিত্র দেবী দূর্গা চরিত্রকে দূরদর্শনের পর্দায় জীবন্ত করে তোলেন। সেই অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘ইয়া দেবী সর্বভূতেষু’।
তারপর সময়ের সাথে অনেককে দেবী দূর্গার চরিত্রে দেখা গেছে। নানান চ্যানেলে, নানান আঙ্গিকে, বারংবার মা এসেছেন। বাংলা ছবির জগৎের তাবর তাবর সব অভিনেত্রী ফিরে ফিরে এসেছেন এই চরিত্রে। ২০০৩-এ ঈন্দ্রানী হালদার থেকে শুরু করে ইদানীংকালে কোয়েল মল্লিক, শ্রাবন্তী চ্যাটার্জ্জি, শুভশ্রী গাঙ্গুলী। ২০০৪-০৫ নাগাদ অপরাজিতা আঢ্যকে এই চরিত্রে দেখা যায়।
ছোট পর্দার বিখ্যাত অভিনেত্রীরাও এইদিক থেকে পিছিয়ে থাকেননি। এক্ষেত্রে বিশেষভাবে, উল্লেখযোগ্য ‘দূর্গা’ ও ‘বেহুলা’ সিরিয়াল খ্যাত অভিনেত্রী পায়েল দে। একটা সময় দর্শক সারাবছর অপেক্ষা করে থাকতেন এই অনুষ্ঠানের জন্য। কিন্তু, বর্তমানে একাধিক চ্যানেলের ভীড়ে, দর্শক কোনটা ছেড়ে কোনটা দেখবেন সেই নিয়েই ধোঁয়াশা।
এক বিখ্যাত সংবাদ পাঠিকার সাথে কথা বলে জানা গেছে, হেমা মালিনীকেও বাংলা দূরদর্শনে দূর্গার চরিত্রে দেখা গেছে। প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী ডোনা গাঙ্গুলি কেও দেখা গেছে টেলিভিশনের পর্দায়। ওটিটির যুগে হইচইয়ে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ সিরিজে দেবী দুর্গার রূপে দেখা যাবে রাজনন্দিনী পাল কে। নানান সময়ে, নানাজনে অভিনয় করলেও, মা চিরন্তন, অবিনশ্বর।