Pakkhirajer Dim : অনেকদিন পর ছোটদের জন্য কোন ভালো ছবি মুক্তি পেলো, এ কথা বলাই যায়। পরিচালক সৌকর্য ঘোষালের নতুন ছবি পক্ষীরাজের ডিম ঠিক যেন তেমনই এক রুপকথার গল্প। কেমন হলো এই ছবি? জানুন বিস্তারিত।
ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন মহাব্রত বসু, অনুমেঘা বন্দ্যোপাধ্যায় , অনির্বাণ ভট্টাচার্য । অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন দেবেশ রায় চৌধুরী, অনুজয় চট্টোপাধ্যায় , আলেক্স ও নিল সহ আরও অন্যান্যরা।
গল্পের শুরু ঘোতন (মহাব্রত) কে ঘিরেই। মূলত রেনবো জেলির সিকুয়াল বলা যেতে পারে এই ছবিকে। ঘোতন বারবার অঙ্কে ফেল করে। তখন সে খ্যাপাটে স্যার বটব্যালের (অনির্বাণ) কাছে যায় রি টেস্ট নেওয়ার জন্য। তখন বটব্যাল বলেন , যারা অঙ্ক পারেনা তারা যেন কাছে না ঘেঁষে। এরপর পপিন্স ( অনুমেঘা) স্যারের কাছে যায় ঐ একই অনুরোধ রাখে। ঠিক তার পরেই এক পক্ষীরাজের ডিম খুঁজে পায় ঘোতন। আর সেই দিয়েই স্যারের কাছে অঙ্ক শিখতে চায় ঘোতন। পাশপাশি ঐ একই ডিমের খোঁজে আসে কাউন্সিলরের (দেবেশ) কাছে আসেন ভিলেন সাহেব (আলেক্স)। তারপর কী হয়? এই নিয়েই ছবির গল্প।
মনে রাখবেন, এই ছবি কিন্তু খুদেদের। সেরম ভাবেই দেখতে হবে। ছবির প্রথম ভালো দিক এরম একটি রূপকথার গল্পকে বড়পর্দায় তুলে ধরা। সেখানে পরিচালক সৌকর্য ঘোষালের কথা বলতেই হবে। এছাড়াও ঘোতন এবং পপিন্সের চরিত্রে মহাব্রত এবং অনুমেঘা খুব ভালো করেছে। তবে ছবির কেন্দ্রবিন্দু অনির্বাণ ভট্টাচার্য। বটব্যালের চরিত্রে তিনি এক কথায় অসাধারণ। এছাড়াও দেবেশ চট্টোপাধ্যায়, অনুজয় চট্টোপাধ্যায় , অ্যালেক্স ও নীল নিজেদের চরিত্রে যথাযথ। এর পাশাপাশি যেভাবে ছবিতে এই বিজ্ঞানের নানা দিক গুলি তুলে ধরা হয়েছে তারও কথা বলতে হবে।
এই ছবি ছোটদের জন্য হলেও কোন এক মুহূর্তে মনে হবে ছবির শেষটা বোধগম্য হলো না। এই ছবিতে এমন কিছু চমক রয়েছে, যা ছোটদের বুঝতে বেশ বেগ দেবে। রূপকথার গল্পে কিছু জিনিস অধরা থাকে ঠিকই, তবে এমন কিছু থাকে শেষে, যা ছোটদের কাছে বোঝা টা শক্ত থাকে। এসব কে সরিয়ে রাখলে সানন্দে দেখা যেতে পারে এই ছবি।
রেটিং – ৬.৫/ ১০