বাংলার নতুন ডিজিটাল এন্টারটেনমেন্ট চ্যানেল ITSMAJJA BANGLA শারদ সম্মানে সম্মানিত করল নিম্নলিখিত পুজোগুলিকে। আসুন, দেখে নেওয়া যাক সেই সব পুজো। পাশাপাশি, দেখে নেব তাদের এ বছরের ভাবনা।

খিদিরপুর ২৫ পল্লী।
খিদিরপুর ২৫ পল্লীর এ বছরের ভাবনা “পরিচারণ”। কথায় আছে, পুরনো সব কিছুকে ত্যাগ করতে হয়। তবে এখানে যেন ঠিক তার বিপরীত।বিভিন্ন বর্জিত জিনিসপত্র দিয়েও যে অনায়াসে মণ্ডপ তৈরি করা যায়, তার যেন এক অপরূপ নিদর্শন রাখলেন এই পুজো কমিটির কর্মকর্তারা। এই বছর ৮০ বছরে পা দিল খিদিরপুর ২৫ পল্লী। পুজোর শিল্পী হিসেবে রয়েছেন বিমল সামন্ত।

বকুল বাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি।
বকুল বাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির এ বছরের ভাবনা ‘ মাশান’। মাশান হল বিশিষ্ট এক যাযাবর জাতির দেবতা। এই জাতিদের কোনও অসুখ হলে তারা যান মাশান দেবতার কাছে। এই ভাবনাই এবছর প্রস্ফুটিত হলো বকুল বাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজোয়। এই পুজোতে শিল্পী হিসেবে রয়েছেন অদিতি চক্রবর্তী। এই ৯৭ বছরে পা দিল বকুল বাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি।

দমদম পার্ক ভরত চক্র ক্লাব।
দমদম পার্ক ভরত চক্র ক্লাবের এ বছরের ভাবনা ‘ উড়ান’। মূলত জামদানী শিল্পের সূত্রপাত কে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে এই পুজোর ভাবনা। অর্থাৎ জামদানী শিল্পের ‘উড়ান’ই এ বছরের ভাবনা দমদম পার্ক ভরত চক্রের। এই বছরে ৬৭ বছরে পা দিল দমদম পার্ক ভারত চক্র। এই পুজোয় শিল্পী হিসেবে রয়েছেন অদিতি চক্রবর্তী।

দমদম পার্ক তরুণ সংঘ।
দমদম পার্ক তরুণ সংঘের এইবারের ভাবনা ‘মুক্তধারা’। জলস্রোত আটকে রাখার কারণে জনজীবনের সমস্যার কথাই তুলে ধরেছেন এই কমিটির কর্মকর্তারা। সেই সূত্র ধরেই রবি ঠাকুরের এই কালজয়ী নাটকের নামেই মুক্ত জীবনের বার্তা দিতে চেয়েছেন তারা। এই পুজোতে শিল্পী হিসেবে রয়েছেন অনির্বাণ।

বেহালা ফ্রেন্ডস ক্লাব।
বেহালা ফ্রেন্ডস ক্লাবের এ বছরের ভাবনা ‘ মহিমা তব উদ্ভাসিত’। নেতিবাচক সমস্ত ভাবনা কে সরিয়ে রেখে এগিয়ে যাওয়ার মন্ত্রই প্রস্ফুটিত হয়েছে এই ভাবনার মধ্যে দিয়ে। সে কারণেই রবি ঠাকুরের লেখা এই গানের লাইনই এবছরের ভাবনা বেহালা ফ্রেন্ডসের। এই বছর ৫৯ বছরে পা দিল এই বছরের পুজো।

লাবণী এস্টেট।
লাবনী এস্টেটের পুজোকে বলা হয় সল্টলেকের বাগবাজার। প্রতিবারের মত এই বছরেও সেই ধাঁচেই কাঁচের মণ্ডপের সাবেকিয়ানা ফুটিয়ে তুলেছেন তারা। এই বছর ৫০ বছরে পা দিল এই পুজো।

কাঁকুড়গাছি মিতালি সংঘ।
কাঁকুড়গাছি মিতালি সঙ্ঘের এই বছরের ভাবনা ‘উপাসনা’। সারা বিশ্বে জাঁকজমক বিষয়বস্তু থাকলেও মায়ের উপাসনা যে জারি থাকে,সেই ভাবনাই এ বছরের এই পুজোতে প্রস্ফুটিত হয়েছে।

কালীঘাট নেপাল ভট্টাচার্য স্ট্রীট ।
কালীঘাট নেপাল ভট্টাচার্য স্ট্রিটের এ বছরের ভাবনা দক্ষিণরায় বা বারো ঠাকুরকে নিয়ে। মূলত ব্যাঘ্র- ভীতি নিবারণের জন্য পুজিত হন এই বনদেবতা। তাঁকে মাথায় রেখেই এ বছরে এই পুজো মণ্ডপ এবার হয়ে উঠে ‘ বারো ঠাকুরের থান।’

সেন্ট্রাল পার্ক ইউথ অ্যাসোসিয়েশন ।
সেন্ট্রাল পার্ক ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশন বরাবরই সাবেকিয়ানা বজায় রাখতে চায় প্রত্যেক পুজোয়। সে কারণে আলাদা করে কোনও থিম বা ভাবনার কথা আলাদা করে ভাবেননি এই পুজোর কর্মকর্তারা। নিজেদের উৎস থেকেই এই পুজো করেন তারা। কোনও রকম আড়ম্বরের বিপক্ষে এই পুজো কমিটি।

লালাবাগান নবাঙ্কুর।
উত্তর কলকাতার ‘ লালাবাগান নবাঙ্কুর’ পুজো কমিটির ভাবনা ‘ লালাবাগানে নবাঙ্কুর।’ বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে উদ্ভিদ সংরক্ষণের বার্তা দিতে চেয়েছেন এই ক্লাবের কর্মকর্তারা। সেই কারণে “নব-অঙ্কুর” কথাটির তাৎপর্য বোঝাতে চেয়েছেন এই ভাবনার মাধ্যমে।

নেতাজিনগর সার্বজনীন দুর্গোৎসব।
নেতাজি নগর সার্বজনীন দুর্গোৎসবের এ বছরের ভাবনা ‘শিকড়ের টানে।’ ওপার বাংলার থেকে এপার বাংলায় আসা মানুষদের জীবনযাত্রার কথা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই পুজো মণ্ডপে।এই মণ্ডপের চিত্র শিল্পী হিসেবে রয়েছেন শ্রেয়সী সাহা কাপাশিয়া।

কাশী বোস লেন।
কাশী বোস লেনের এ বছরের ভাবনা রত্নগর্ভা। মাতৃগর্ভ থেকেই জন্ম হয় প্রাণীকুলের। সেই ভাবনাকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয়েছে কাশী বোস লেনের মণ্ডপ। এই বছর ৮৭ বছরে পা দিল এই পুজো। সৃজনের দায়িত্বে রয়েছেন রিন্টু দাস।

কুমোরটুলি পার্ক।
কুমারটুলি পার্কের এবছরের ভাবনা ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। তার কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে বেতারের মণ্ডপ। এই পুজো এবার ৩২ তম বছরে পা দিল। প্রতিমা শিল্পী নবকুমার পাল।

বোসপুকুর শীতলা মন্দির।
বোসপুকুর শীতলা মন্দিরের এবারের ভাবনা সঞ্চয়। এই পুজো ৭৫ তম বর্ষে পদার্পণ করলো। মন্ডপ তৈরি হয়েছে মাটির ভাঁড় দিয়ে।

আহিরীটোলা যুবক বৃন্দ।
আহিরীটোলা যুবক বৃন্দের এবারের ভাবনা ‘আকারের মহাযাত্রা’। প্রতিমা শিল্পী নবকুমার পাল। এই পুজোটি এবার ৫৪ তম বছরে পা দিল।

হরিদেবপুর বিবেকানন্দ পার্ক এথলেটিক ক্লাব ।
হরিদেবপুর বিবেকানন্দ পার্ক এথলেটিক ক্লাবের এবারের ভাবনা ‘ব্যারিকেড’। এই পুজোর ভাবনা যন্ত্র আর ষড়যন্ত্রে মানুষ বোঝা দায়। প্রতিমা শিল্পী সুব্রত মৃধা। এই পুজো এবার ৫৪ তম বছরে পা দিল।

খিদিরপুর পল্লী শারদীয়া।
খিদিরপুর পল্লী শারদীয়ার এবারের ভাবনা ‘আকার।’ পুজোর সৃজন,পরিকল্পনা এবং নির্দেশনার দায়িত্বে রয়েছেন কৃশানু পাল।

রাজডাঙ্গা নব উদয় সঙ্ঘ।
রাজডাঙ্গা নব উদয় সঙ্ঘের এবারের ভাবনা ‘ ভারসাম্য।’ প্রকৃতিকে নষ্ট না করে প্রযুক্তির ব্যবহার করার ভারসাম্য বজায় রাখার বার্তা দেয় এই পুজো। এই বছর ৪০ তম বর্ষে পা রাখল এই পুজো। শিল্পী হিসেবে রয়েছেন মলয় এবং শুভময়।

সুরুচি সঙ্ঘ।
সুরুচি সঙ্ঘের এ বছরের ভাবনা ‘পুরানো সেই দিনের কথা’।এই পুজো এবছর ৭১ তম বর্ষে পা দিল। এই পুজোতে প্রতিমা শিল্পী হিসেবে রয়েছেন গোবিন্দ কুইল্যা।

সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার।
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের এ বছরের ভাবনা বিশ্ববিখ্যাত লাস ভেগাস স্ফিয়ার। এই পুজো এবারে ৮৯ তম বর্ষে পা দিল।

নলিন সরকার স্ট্রিট সার্বজনীন দুর্গোৎসব।
নলিন সরকার স্ট্রিটের এ বছরের ভাবনা শহরনামা। আমাদের এই শহর যারা পরিস্কার করেন নিয়মিত, তাদের কথা মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে এই মণ্ডপ।

সন্তোষপুর ত্রিকোণ পার্ক।
সন্তোষপুর ত্রিকোণ পার্কের এবছরের ভাবনা ‘ উদযাপন।’ একাধারে প্রজাতন্ত্র দিবসের ৭৫ বছর,পাশপাশি এই পু জো রও এবছর ৭৫ বছর। সেই ভাবনাকে কেন্দ্র করেই এ বছরে ‘ উদযাপন’ এর দিকে পা বাড়িয়েছে এই পুজো কমিটি।

বড়িশা বড়বাড়ি।
কলকাতার অন্যতম প্রাচীন বনেদী বাড়ির পুজো হলো বড়িশা বড়বাড়ি। প্রায় ৪১৫ বছর ধরে চলে আসছে এই পুজো। মুঘল আমলের জমিদার সাবর্ণ রায় চৌধুরীর আমল থেকেই এই পুজোর সুত্রপাত।

হাতিবাগান সার্বজনীন।
হাতিবাগান সার্বজনীনের এবছরের ভাবনা ‘প্রকরণ’। এই ভাবনার মধ্যে দিয়ে এই পাড়ার পরিচয় তুলে ধরতে চেয়েছেন তারা। এবছর ৯০ তম বর্ষে পা দিল এই পুজো। শিল্পী হিসেবে রয়েছেন সুশান্ত শিবানী পাল।

ত্রিধারা অকালবোধন।
ত্রিধারা অকাল বোধনের এ বছরের ভাবনা অঙ্গন’। পুজোর শিল্পী হিসেবে আছেন গৌরাঙ্গ কুইল্যা। শিল্পের মাধ্যমেই মাকে বরণ করে নেওয়ার এক অনবদ্য বার্তা দিয়েছেন পুজো কমিটির কর্মকর্তারা। মূলত সাবেকিয়ানা ধাঁচেই তৈরি হয়েছে মণ্ডপ।
শারদ সম্মানের ভিডিও দেখতে হলে সাবস্ক্রাইব করুন Itsmajja Bangla র ইউটিউব চ্যানেল। এছাড়াও ফলো করুন ফেসবুক এবং ইন্সটাগ্রামেও। বিনোদন জগতের নানা তথ্য পেতে চোখ রাখুন Itsmajja Bangla র ওয়েবসাইটে।